রূপিন্দার ২০০৭ সালে হেয়ারড্রেসিং ও মেকআপ বিষয়ে পড়াশুনার জন্য ভিসা নিয়ে ইন্ডিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়াতে আসেন, কিন্তু তাঁর কর্মজীবন অন্য দিকে মোড় নিতে এর আগে [26] বেশি সময় লাগেনি।
তিনি বৃদ্ধাশ্রমে একজন প্রতিবন্ধী সহায়তা কর্মী হিসেবে কাজ পেয়ে যান, যা তাঁকে সরাসরি Postgraduate Diploma of Mental Health Nursing বিষয়ে ভর্তি হতে সাহায্য করে। তিনি এখন, একজন forensic health nurse হিসেবে কাজ করছেন।
রূপিন্দার ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমি অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে এসেছিলাম। যখন থেকে আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম, আমি মুক্তি ও স্বাধীনতার সম্ভাবনাকে অনুসন্ধান করতাম।”
রূপিন্দারের স্কীলড মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া ঘটেছিলো আঞ্চলিক ভিক্টোরিয়াতে বসবাস ও চাকুরী করার মাধ্যমে, যেখানে ধীর-গতির জীবনধারা তাকে কর্ম-জীবনের মধ্যে ভারসাম্য দেয় এবং তার তরুণ পরিবারকে অধিক সময় দেয়ার সুযোগ করে দেয়।
রূপিন্দার বলেন, “আমি এবং আমার পরিবার এটা উপভোগ করি। আমার ছোট দুটি কন্যা বলে, মা, মা, তোমাকে ধন্যবাদ আমাদেরকে বেশি সময় দেয়ার জন্য।”
রূপিন্দার বলেন, যদিও আঞ্চলিক ভিক্টোরিয়াতে চলে এসে এ নিয়ে থেকে যাওয়াটা বেশ কষ্টসাধ্য[29] ছিল, তিনি দেখেছেন তার সহকর্মীরা ও স্থানীয় লোকজন খুবই আতিথিয়তাপূর্ণ[30] এবং অনেক বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছেন।
তিনি বলেন, “শুরুর দিকে, আমি আমার সহকর্মীদের সাথে কথা বলতাম এবং বলতাম আমি একাকী অনুভব করি কিংবা নিজের দেশকে মনে পড়ে, তারা বলতো, ‘ভেবো না, আমরা তোমার বন্ধু, বাইরের এই আড্ডা গুলোতে আমাদের সাথে যোগ দাও।’ “
অস্ট্রেলিয়াতে অভিবাসিত হওয়াটা রূপিন্দারের জন্য অত্যন্ত পরিপূর্ণতাদায়ক, ব্যক্তিগতভাবে ও পেশাগতভাবে – উভয় দিক দিয়ে, এবং তিনি বলেন, এই একই কাজ করার জন্য অন্যদেরও তিনি উৎসাহিত করবেন।
তিনি বলেন, “লোকদের উচিত এটা একবার চেষ্টা করে দেখা। আমি সুখী অনুভব করি এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছি।”
আপনি যদি একজন দক্ষ কর্মী হয়ে থাকেন, তাহলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন এবং অস্ট্রেলিয়াকে বেছে নিন।