প্রীত ২০১৫ সালে ইন্ডিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া আসেন[21] তথ্য প্রযুক্তিতে
স্নাতকোত্তর ডিগ্রী করার জন্য এবং তিনি এখন সাইবার সিকিউরিটি এনালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি শিল্প তাকে কর্মজীবনে সীমাহীন অগ্রগতির পথ খুলে দিয়েছে এবং বিশেষভাবে মহিলাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা[22] দেয়।
অস্ট্রেলিয়াতে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে, প্রীত একই ধরণের অভিবাসন প্রক্রিয়াগুলো অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করে দেখেন। তিনি বলেন, তিনি যে বিষয়গুলো বিবেচনা করেছেন, সেগুলো হলো নিজের পরিবারকে আনতে পারবেন কি-না, কাজ করার অধিকার, ভাষাগত সীমাবদ্ধতা – এমনকি আবহাওয়া পরিস্থিতি – এবং দেখেছেন অস্ট্রেলিয়াই যথোপোযুক্ত[23]।
প্রীতের মতে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে[24] গমনের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগুলো তাঁকে, নিজেকে আরো জানার[25] জন্য সাহায্য করেছে এবং দিয়েছে আত্মবিশ্বাস ও নব্যপ্রাপ্ত স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, “যদি আমি নিজেকে ১০ বছর আগের সাথে তুলনা করি, তবে আজকে আমি অনেক অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। সেই আত্মবিশ্বাস আমি অর্জন করেছি এখানে আসার পরে।”
প্রীতের তথ্যপ্রযুক্তির যোগ্যতা ছিল তাঁর দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী এবং যা কর্মজীবনে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তনের জন্য উন্নীত করে – মাঝেমাঝে তিনি ভাবেন, যদি অস্ট্রেলিয়াতে না আসতেন তাহলে তিনি এটা অর্জন করতে পারতেন না।
প্রীত বলেন, “যদি আপনি কর্মজীবনে পরিবর্তন আনতে চান, কেউ আপনার সামর্থ্য বিবেচনা করতে যাবে না অথবা আপনাকে থামাতে চেষ্টা করবে না। আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন। আপনি যা হতে চান তা হতে পারবেন।”
প্রীত বলেন, তিনি অন্যান্য অভিবাসীদের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার জীবনধারা সুপারিশ করেন যেভাবে তারা তাদের ইচ্ছেগুলো অর্জন করতে পারেন।
তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে যা আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি, তা হলো আপনি আপনার আবেগকে পরিপূর্ণ করতে পারবেন। আমি প্রতিদিন নিজেকে আবিষ্কার করছি।”
আপনি যদি একজন দক্ষ কর্মী হয়ে থাকেন, তাহলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন এবং অস্ট্রেলিয়াকে বেছে নিন।